ভূয়া টেস্ট রির্পোট বানিজ্য দেখার যেন নেই কেহ।
পর্ব -১।।বরিশাল নগরীজুড়ে ভুয়া ডাক্তার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, টেকনোলজিস্ট, মানহীন মেশিনসংবলিত ল্যাব, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই প্যাথলজির ভুয়া রিপোর্ট প্রদানসহ দালালনির্ভর ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লিনিক-হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার’র ছড়াছড়ি। এসব প্রতিষ্ঠানের খপ্পরে পড়ে বিভিন্ন জেলা গ্রামাঞ্চল ও শহরতলি থেকে আসা রোগীরা হচ্ছেন সর্বস্বান্ত । হাড়াচ্ছেন শেষ সম্বল টুকো দেখার যেন কেউ নেই। বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ১৩৪ ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২৯ বৈধ ক্লিনিক-হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। কিন্তু এর বাইরে দালাল দিয়ে শত শত অবৈধ ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক বাণিজ্য করে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চললেও কিছু স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদককে ম্যানেজ করে ব্যবসা চালাচ্ছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর সদর রোড, পূর্ব বগুড়া রোড অপসোনিন এর সামনে সাউথ ইবনে সিনা ও বরিশাল মেডিনোভা, গির্জা মহল্লা মোড়, আগরপুর রোড, বাটারগলি, বিবির পুকুর পাড়, অশ্বিনী কুমার হল চত্বর, সাগরদি পুল সংলগ্ন, শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের সামনে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য ৫ই আগস্টের পরও বহাল। নির্দিষ্ট ৫০% পার্সেন্টেজের বিনিময়ে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার তুমুল প্রতিযোগিতা চলে তাদের মধ্যে। সূর্য ওঠার পর পরই দালালরা ওৎ পেতে থাকে নগরীর রুপাতলীতে শহিদ ও রুহুল এর নেতৃত্বে ১০/১৫ জন , নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও লঞ্চ ঘাট টার্মিনালে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা রোগীদের জন্য। দালালরা তাদের পছন্দের ডাক্তার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের নিয়ে গিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে ভুল চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত হচ্ছে রোগীরা। হারাচ্ছে শেষ অর্থটুকু জানা গেছে, নগরীতে সব থেকে বেশি ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালের সামনে। সেখানে ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিকে প্রতিটিতেই জড়িত আছেন হাসপাতালের কোনো না কোনো চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এছাড়া কিছু চিকিৎসক প্রতি রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর পাচ্ছেন সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিশন। এসব চিকিৎসকের কাছ থেকে রোগী নিজেদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসতে রয়েছেন মার্কেটিং কর্মী ওৎ পেতে থাকা নামধারী দালাল। ঠিক একই অবস্থা দেখা গেল বরিশাল সদর হাসপাতালের সামনেও। এ হাসপাতালের সীমানার সাথেই রয়েছে একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিক। এসব প্রতিষ্ঠানের নেপথ্যেও রয়েছেন ওই হাসপাতালের কর্মচারী এবং দালাল। অভিযোগ রয়েছে, শুধু ডাক্তার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীই নন, একের পর এক গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন দালানের পাশাপাশি প্রভাবশালীরাও। তাদের নেতৃত্বেই এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত রোগীদের জিম্মি করে সর্বশান্ত করা হচ্ছে। এক ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা শারমিন ও বরিশাল উজিরপুরের শিখা রানি জানান, নগরীর বাটার গলিতে অষিতভুসন কে দেখাতে এলে দালালের খপ্পরে পড়েন। প্রথমে দালালরা ভুল বুঝিয়ে বরিশাল সাউথ ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে ভুয়া ডাক্তার দেখানো শেষে প্রেসক্রিপশনের প্যাডে ৮টি পরীক্ষা করতে বলে ৭ হাজার ২০০ টাকা ও ডাক্তার ফি আরও ৮০০ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি তিনি বুঝতে পেয়ে হট্রগোল করেন এক পর্যায় দালাল ৪ হাজার টাকা ফেরৎ দেন পড়ে শিখা রানি অষিতভুসন কে দেখাতে যান। এভাবেই প্রতিদিন সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে রোগীদের। দেখার যেন নেই কেহ।
বরিশাল মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক ও সাউথ ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর নিউজ না করার জন্য টাকা নিয়ে অফার করেন ইবনে সিনার দালাল এসকে ওরফে (টাকলা এসকে)।
এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. এস,এম,মনজুর-এ-এলাহী বলেন, আমি বরিশালে চিকিৎসা সেবা একটি সুনন্দর ভাবে সাজাবো, সেখানে কোনো অবৈধ বা দালাাল থাকবে না। মানুষ যাতে সুচিকিৎসা পায় সে ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সিভিল সার্জন থেকে ঢাকা প্রতিদিন এর সাংবাদিক কে বলা হয় স্বাস্থ্য বিভাগে যেতে।
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, অবৈধ , ক্লিনিক, ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার,হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রায়ই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। বর্তমানেও অভিযান চলমান রয়েছে। তবে বরিশাল মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক ও সাউথ ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবিষয়ে চিঠি পাঠান হবে।