০৭:১৮:২২ এএম, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উন্নয়ন বৈষম্য শিকার বরিশাল, একনেকে ১৬ প্রকল্পের অর্থ বেশির ভাগ চট্টগ্রামে বরাদ্দ, পায়রা বন্দর ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র। একটি সিঙ্গারা সম মূল্য একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের প্রাণ ! উজিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির আহমেদ রনির বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল ও দালালির অভিযোগে তোলপাড়। ইসরায়েলের পণ্য বর্জনের ডাক দিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্যাঁড়াকলের গ্যাঁড়ায় বিএনপি পটুয়াখালীতে বন ‍উজার ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত করবে কে ? দুমকিতে ঘর মালিকের অর্ধলক্ষাধিক টাকা শ্রমিকদল নেতার পেটে! ধলেশ্বরী নদীতে সেনা অভিযান: দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাং ওরফে ডেঞ্জার গ্যাং এর ১৬ জন আটক। বিমানবন্দরে এক গৃহবধূ পাষণ্ড স্বামীর অত্যাচারের শিকার
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

চাঁদাবাজি শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষণ ও মাদক বাণিজ্যে অতিষ্ঠ কক্সবাজারের সুগন্ধা লাইট হাউজ এলাকার মানুষ।

  • প্রকাশের সময় : ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১১৮ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।। সুগন্ধা লাইট হাউজ ও লাবনী পয়েন্টের হোটেল, রেস্টুরেন্ট স্পা ও ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও এই চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে আছেন লাইট হাউজের বাসিন্দা ফাহিম। গড়ে তুলেছেন ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।

স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ ও কক্সবাজার শহর ছাত্রদলের আশ্রয়ে থাকায় তাদের কেউ ঘাটাতে সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতন।

অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফাহিম বাহিনীর অনেকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও পরিবর্তন করেছে। পানির যেমন কোনো রং নেই এদেরও তেমন কোনো দল নেই। যখন যার তখন তার। আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে থাকলেও ৫ আগস্টের পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করেছে। ফাহিমের সহযোগীরা আগে ছাত্রলীগের শহর কমিটিতে ছিল। ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ছাত্রদল বনে গেছে। আবার অনেকে-ই সাংবাদিকতার পরিচয় ও দেয়। নানামুখী পরিচয় আর প্রশ্রয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ফাহিম বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।

জানা গেছে, এই বাহিনীর আরেক সদস্য মেহেদী হাসান। এই হাসান ২০২১ সালে কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। জামিনে বের হয়ে ফাহিমের সঙ্গে মিলেমিশে ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ মাদকের রমরমা কারবার করে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আগে আওয়ামীলীগ করতাম। এখন কোনো দলে নেই। রাসেল মেহেদী ও সিফাতসহ আমরা কয়জন বন্ধু একত্রে চলাফেরা করি। চাঁদাবাজি করি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। এর মধ্যে আছে হোটেল, রেস্তোরা-স্পা। এসব মালিকদের পাশে থাকি। কেউ ক্ষতি করতে আসলে আমরা নিরাপত্তা দিই। তারা আমাদের প্রতি সপ্তাহে একটা খরচ দেয়। বহিরাগতরা ঝামেলা করতে এলে আমরা প্রতিহত করি। এই মালিকরাও আমাদের প্রতি সপ্তাহে আমাদের চাঁদা দেয়।”

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করব। আমাদের গোয়েন্দা টিমের মাধ্যমে আমরা অনুসন্ধানে যাবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

জনপ্রিয়

উন্নয়ন বৈষম্য শিকার বরিশাল, একনেকে ১৬ প্রকল্পের অর্থ বেশির ভাগ চট্টগ্রামে বরাদ্দ, পায়রা বন্দর ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র।

চাঁদাবাজি শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষণ ও মাদক বাণিজ্যে অতিষ্ঠ কক্সবাজারের সুগন্ধা লাইট হাউজ এলাকার মানুষ।

প্রকাশের সময় : ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।। সুগন্ধা লাইট হাউজ ও লাবনী পয়েন্টের হোটেল, রেস্টুরেন্ট স্পা ও ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও এই চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে আছেন লাইট হাউজের বাসিন্দা ফাহিম। গড়ে তুলেছেন ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।

স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ ও কক্সবাজার শহর ছাত্রদলের আশ্রয়ে থাকায় তাদের কেউ ঘাটাতে সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতন।

অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফাহিম বাহিনীর অনেকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও পরিবর্তন করেছে। পানির যেমন কোনো রং নেই এদেরও তেমন কোনো দল নেই। যখন যার তখন তার। আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে থাকলেও ৫ আগস্টের পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করেছে। ফাহিমের সহযোগীরা আগে ছাত্রলীগের শহর কমিটিতে ছিল। ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ছাত্রদল বনে গেছে। আবার অনেকে-ই সাংবাদিকতার পরিচয় ও দেয়। নানামুখী পরিচয় আর প্রশ্রয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ফাহিম বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।

জানা গেছে, এই বাহিনীর আরেক সদস্য মেহেদী হাসান। এই হাসান ২০২১ সালে কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। জামিনে বের হয়ে ফাহিমের সঙ্গে মিলেমিশে ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ মাদকের রমরমা কারবার করে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আগে আওয়ামীলীগ করতাম। এখন কোনো দলে নেই। রাসেল মেহেদী ও সিফাতসহ আমরা কয়জন বন্ধু একত্রে চলাফেরা করি। চাঁদাবাজি করি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। এর মধ্যে আছে হোটেল, রেস্তোরা-স্পা। এসব মালিকদের পাশে থাকি। কেউ ক্ষতি করতে আসলে আমরা নিরাপত্তা দিই। তারা আমাদের প্রতি সপ্তাহে একটা খরচ দেয়। বহিরাগতরা ঝামেলা করতে এলে আমরা প্রতিহত করি। এই মালিকরাও আমাদের প্রতি সপ্তাহে আমাদের চাঁদা দেয়।”

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করব। আমাদের গোয়েন্দা টিমের মাধ্যমে আমরা অনুসন্ধানে যাবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”